নতুনদের জন্য বি-স্কিলড এর সকল কোর্সে ফ্ল্যাট ৩০% ডিস্কাউন্ট! সীমিত সময়ের জন্য!
content-writ22

কন্টেন্ট কি?

কন্টেন্ট হচ্ছে কোন একটি বিষয় কে সহজ সরল ভাবে মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করা।যা পড়া মাত্রই মানুষ বিষয়টির সম্পর্কে জানতে পারে।কন্টেন্ট টি হতে পারে যে কোন বিষয়ের উপর।

অনলাইন সেক্টরে বর্তমান সময়ে অনেক বড় বড় পেশার মধ্যে কন্টেন্ট তৈরি অন্যতম।এ সময়ে অনেক কে ই পাওয়া যাবে যারা কন্টেন্ট তৈরি করে নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন।কন্টেন্ট তৈরি শিখে আপনি আপনার উজ্জ্বল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ার অনলাইন বা অফ-লাইনে গড়ে তুলতে পারেন।

কন্টেন্ট এর প্রকার 

আমাদের এই 4G,5G অনলাইন মিডিয়ার যুগে কন্টেন্ট কথাটি শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।কন্টেন্ট এর প্রকার নিয়ে অনেক আলোচনা আমরা শুনে থাকি। আজ আমি আপনাদেরকে কন্টেন্ট এর বেশ কয়েকটি প্রকার জানাব যার মধ্যে  উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রকারভেদ হল-

  1. ছবি কন্টেন্ট
  2. লিখিত কন্টেন্ট
  3. ভিডিও কন্টেন্ট
  4. অডিও কন্টেন্ট

 ছবি কন্টেন্ট

কোন কিছু লিখার পাশাপাশি যদি আমরা ছবি দেখতে পাই তখন এটি কে বলা হয়ে থাকে ছবি কন্টেন্ট। ইমেজ বা ছবি কন্টেন্ট এ লিখা প্লাস ছবি দুটোই থাকে।

লিখিত কন্টেন্ট

এই যে আমি এখন যা লিখছি বা লিখার মাধ্যমে মনের ভাষা প্রকাশ করছি তাও একটি কন্টেন্ট। এই কন্টেন্ট টি হলো লিখিত কন্টেন্ট।  এই কন্টেন্টটি আপনি অনলাইন, অফলাইন অথবা দুইটি প্লাটফর্মের জন্যেই লিখতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে পরবর্তী অংশে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

ভিডিও অডিও কন্টেন্ট

ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করি তা হলে বলা যায় যে আমরা ভিডিও তে যা দেখি এবং অডিওতে যা শুনে থাকি সেসবি ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট। এখানে স্বকীয়তা ও প্রতিভা প্রকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে। এই কন্টেন্ট গুলোর জনপ্রিয়তা বর্তমানে দিন দিন বাড়ছে।  

কন্টেন রাইটিং কাদের জন্য?

আমার মতো করে যদি বলি তা হলে বলব, সব কাজ সবার জন্য না ,তবে কন্টেন্ট রাইটিং এমন একটি পেশা যা হতে পারে সবার জন্যেই।সবার জন্য বলব এই কারণেই যাদের ইচ্ছা শক্তি আছে, এবং কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আগ্রহ আছে, তাহলে আপনি যে টপিক নিয়েই লিখেন না কেন তার গুনাগুণ  এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

লেখা লেখির বিষয়টা কে পেশা নয় বরং নিজের নেশাতে পরিনত করতে হবে। এবং নিজে কে একজন রাইটার হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।যারা মন খুলে উন্মুক্ত ভাবে লিখার চেষ্টায় থাকে তাদের জন্যই কন্টেন্ট রাইটিং এবং একটা সময় তারাই কন্টেন্ট রাইটিং এর সর্বোচ্চ আসনটি নিজের করে নিতে পারবেন।কন্টেন্ট রাইটিং পেশাটি যারা পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য খুব ভালো একটি ক্যারিয়ার। কারণ  তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে লিখতে পারেন। 

যেভাবে শুরু করবেন কন্টেন্ট রাইটিং 

কন্টেন্ট লিখার আগে আপনাকে মনস্থির করতে হবে,কিছু সময় আপনাকে ভাবতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখবেন সেই বিষয়টির উপর আপনার  ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। গুগল বা ইউটিউবে বেশ কিছু সময় আপনাকে গবেষণা করতে হবে ।

আপনাকে সিলেক্ট করে নিতে হবে আপনি কোন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখবেন। সেটি হতে পারে ওয়েব কন্টেন্ট, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট, সেলস কন্টেন্ট ইত্যাদি। উপরের বিষয় গুলো নিয়ে গবেষণার পর নিজের মত করে ফরম্যাট টি গুছিয়ে নিলে কন্টেন্ট লিখতে সহজ হবে। নিয়মিত প্র্যাক্টিস করলে দ্রুত সময়ে আপনি নিজেকে একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। 

কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা থাকতে হয়?

একজন পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এইচ এস সি পাস হতে হবে। একজন পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার যে কোন বয়সের হতে পারে এবং সে যে কোন পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারে। কন্টেন্ট রাইটারের বেলায় বয়সটা কোন বড় বিষয় নয়। বড় কথা হল লিখার মানটা কেমন।

তবে সাংবাদ মাধ্যমে কাজ করার জন্য স্নাতক পাস হলে ভালো হয়। আপনি যে কোন  সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন না কেন, কোন সমস্যা নেই তবে আপনার লিখার হাত হতে হবে ভালো। সম্পুর্ন লেখা লেখি পেশায় নিয়োজিত হতে হলে আপনার বয়স ২২ বা ২৩ বছর হলে ভাল হয়। ব্লগ থেকে ইনকাম করার ব্যাপারেও একটা নির্দিষ্ট বয়সের ব্যাপার থাকে।

যেমন ধরেন গুগোলের অ্যাডসেন্স ১৮ বছরের কম বয়স হলে অনুমদন দেয় না ।

আপনি যে ভাষাতেই কন্টেন্ট লিখেন না কেন সেই ভাষার গ্রামার বা ব্যাকরণ আপনাকে খুব ভাল করে জানতে হবে। একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে প্রচুর প্রাথমিক রিসার্চ বা গবেষণা করতে হবে। ওই বিষয়ের উপর এনালাইসিস করতে হবে। অনলাইনে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার টাইপিং ভালো জানতে হবে।

একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

দৈনিক অফলাইন পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রথমে একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে জয়েন করার পরে কিছু দিন সফলাতার সাথে কাজ করে সিনিয়র কন্টেন্ট রাইটার হতে পারেন।

এখান থেকে আপনি আপনার কর্মের ধারা সর্বোচ্চ পদটিও আহরণ করতে পারেন, যেমন চীফ এডিটর পদে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি যদি কোন এজেন্সিতে ৪-৬ বছর কাজ করেন তা হলে ম্যানেজার হতে পারেন এমন কি আপনি সিনিয়র কপিরাটার হতে পারেন। 

এখন যদি আমরা কন্টেন্ট রাইটিংয়ে ফ্রিল্যান্সিং কথা বলি তা হলে বলব যে, এখানে কোন পদ বা পদবির ব্যাপার নেই আপনার যদি ভালো পোর্টফোলিও থাকে তাহলে আপনি অনেক ভালো আয় করতে পারবেন। এমন কি আপনি অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার পাবেন।

একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি কোথায় কাজ করবেন?

কন্টেন্ট রাইটাররা অনেক যায়গায় কাজ করে থাকেন। যেমন কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গা হলো,অনলাইন,অফলাইন পত্রিকায় এবং কমার্শিয়াল ব্লগ গুলোতেও খুব ভালো কাজ করার সুবিধা থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা,মেগাজিন দৈনিক,সাপ্তাহিক,মাসিক এমন বিভিন্ন কাগজে কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব। 

নিজের একটি ওয়েব সাইট থাকলেও অনলাইনে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।বিনা মূল্যে নিজের একটি ওয়েব তৈরী করে স্মার্ট ইনকামের সুবিধা রয়েছে অনলাইনে। একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটারের কাজের সুযোগের অভাব নেই সে সব প্লাটফর্মেই ভালো করতে পারে। তবে, আপনি যে ভাষাতেই লিখেন না কেন লিখার মান অব্যশই ভালো হতে হবে। 

কত টাকা আয় করেন একজন কন্টেন্ট রাইটার  

একজন কন্টেন্ট রাইটারের আয়টা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। 

  • আপনি কি ধরনের কন্টেন লিখবেন,যেমন বাংলাতে না কি ইংরেজিতে, 
  • পাশাপাশি আপনি কোন ফরম্যাট অনুসরণ করবেন, বা 
  • আপনি কি ধরনের কোম্পানির জন্য লিখছেন,
  •  আপনার লিখার মান কেমন।

একজন কন্টেন্ট রাইটার যদি ভালো কোন পোর্টালে কাজ শুরু করেন তাইলে প্রতি মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আমরা  যদি একজন ব্লগারের কথা বলি তাহলে ৩-৪ মাস পর থেকেই ইনকাম করতে পারেন। বাংলা ১০০০ বা ১৫০০ ওয়ার্ডের কন্টেন্ট এর জন্য ৫-৮ ডলার আয় করা যায়। আবার ইংরেজিতে ৩০-৫০ ডলার কিংবা তারও বেশি হতে পারে। 

একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার কাজের শুরুটা করেন প্রতি হাজার ওয়ার্ড ৫ ডলারের মাধ্যমে।  কিন্তু ৫-৬ টি কাজ কমপ্লিট করার পরেই কাজের ডিমান্ড বেড়ে যায়। যা প্রতি ঘন্টায় ২৫-৩০ ডলার ধরে ও কাজ করতে পারেন। 

ডলারে বা টাকায় বিচার না করে আপনাকে ভাবতে হবে কাজের ধরন নিয়ে। কাজের মান বা কন্টেন্ট এর মান ভালো হলে এমনিতেই একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি হবে। কাজ ভালো হলে নিজের কদর সব যায়গায় পাওয়া যায়। আমার মত করেই বলি, তাহলে বলব যে টাকার পিছু না ছুটে কাজের মানের দিকে লক্ষ্য রাখুন, টাকা আপনার পিছু এমনি ছুটবে।

পরিশেষে কন্টেন্ট রাইটিং

আমরা উপরের আলোচনা থেকে যা জানতে পারলাম তা হলো, কন্টেন্ট কি? কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং লিখতে হবে। কি ভাবে একজন কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায়।কন্টেন্ট রাইটারের ক্যারিয়ার সহ সকল বিষয় নিয়ে কিছু না কিছু আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।

অন্যেদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজেকে দক্ষ ভাবে তৈরী করুন। অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে নিজেকে আপডেট করে গড়ে তুলুন। আগে নিজে জানুন, শিখুন, তার পরে কাজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিন।সফলতা আপনার হাতের মুঠোইয় চলে আসবে।